সাইক জেনারেল হসপিটাল লিমিটেড, ভাই পাগলা মাজারের উত্তরপার্শে বগুড়ায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল । দিন-রাত ২৪ ঘন্টা জরুরী চিকিৎসা সেবা-সহ দেশ সেরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন রোগীদের সার্জারি-সহ সকল রোগের চিকিৎসা সেবা নিয়মিত প্রদান করছেন। এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য কল করুন: ০১৯৩৬-০০৫৮৭০ ||

ডিজিটাল এক্স-রে

এক্স-রে হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিমভাবে তৈরি তেজস্ক্রিয় রশ্মি, যা দিয়ে মানব দেহের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্থান ভেদে চিকিৎসাও প্রদান করা হয়। এক্স-রে কি ক্ষতিকারক : অবশ্যই। যদিও শরীর অল্পদিনের মাঝেই সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি অপূরণীয়। এতে শরীরের স্থায়ী কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাত্র একটি এক্স-রে কণা একটি মূল্যবান কোষ ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। তবে সব সময় সবারই যে একইরকম ক্ষতি হবে বা হবেই বা এটা বিতর্কসাপেক্ষ।

ফলাফল : যদি মানব ভ্রূণ সৃষ্টির শুরুতে কোনো কোষ নষ্ট হয়, এর প্রভাবও শিশুটির ওপর পড়তে পারে। শিশুটি বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিতে পারে অথবা মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। কারণে অকারণে বারবার এক্স-রে করালে শরীরের জনন কোষগুলোর (শুক্রাশয় বা ডিম্বাশয়) ওপর এর প্রতিক্রিয়ার কারণে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এক্স-রের সংস্পর্শে থাকেন বা থাকবেন তাদের ত্বকের ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, চোখে ছানিপড়া, খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।

এক্স-রে কি করা যাবে না : অবশ্যই যাবে। এটি একটি অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে অতি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। উন্নত বিশ্বে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এক্স-রে পরীক্ষা লিখতে বা করাতে পারেন না। এ ক্ষমতা সেখানে নির্দিষ্ট কিছু ডাক্তারের হাতে থাকে। আমাদের দেশে যত্রতত্র এর ব্যবহার হয়ে থাকে, তাই আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে অনেকাংশে এর খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।

Call Now